পূর্বধলায় রেলওয়ে’র জমিতে অবৈধ স্থাপনা, পানি নিষ্কাশন বন্ধ, জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ , জুন ১৫, ২০২১
রেলওয়ে’র জমিতে অবৈধ স্থাপনা, পানি নিষ্কাশন বন্ধ, জনদুর্ভোগ চরমে

পূর্বধলা প্রতিনিধি: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় কৃষি ও মৎস্য চাষের নামে রেলওয়ের জমি ইজারা নিয়ে পাকা দালান নির্মাণ করেছেন ইজারাদাররা। স্থাপনা নির্মাণের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এতে উপজেলা সদরের অন্যতম প্রধান সড়ক স্টেশন রোডের পূর্বধলা বাজার রেলক্রসিং থেকে ব্র্যাক অফিসের সামনে পর্যন্ত রাস্তায় পানি জমে গর্ত ও কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পূর্বধলা বাজার থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত সড়কের পাশে রেলওয়ের জায়গায় তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এজন্য বাজারের প্রবেশ মুখে পানি নিষ্কাশনের খাল ও খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতুর মুখ বন্ধ করে দেওয়াহয়েছে। সম্প্রতি রেলওয়ের জায়গায় স্টেশন রোডের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও ব্র্যাক অফিসের বিপরীত দিকে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না রেখে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মার্কেট। এতে চলতি বর্ষায় সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্ত। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিষদে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি জনদুর্ভোগের পাশাপাশি ঘটছে
দুর্ঘটনা। সম্প্রতি এক প্রসূতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ওই গর্তে রিক্সা উল্টে একটি পা ভেঙ্গে গেছে।

এ সড়কে জনসাধারণের ভোগান্তির বিয়ষটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আনেন স্থানীয় লোকজন। এর প্রক্ষিতে ইসমাইল হোসেন খোকন নামের রেলওয়ের জমির এক দখলদারকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে ডেকে আনেন। তাকে ওই জমির ইজারা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে বললে তিনি কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না রেখেই স্থাপনা নির্মাণের ফলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার বিষয়ে জানতে চাইলে উল্টো তিনি ইউএনওর সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কাগজপত্র দেখানোর প্রয়োজন মনে করেন না বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়েন।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আগামী ১৬ জুন বুধবার জমি ইজারার উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকার নিদের্শ দিয়েছেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্টেশন রোডে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে অপরিকল্পিত ভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাসহ বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বর্ষাকালে চলাচলে পথচারিদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পূর্বধলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম লিটন বলেন, রাস্তার দুই পাশে অপরিকল্পিত ভাবে ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রেখে উচু করে স্থাপনা নির্মাণের ফলে রাস্তায় পানি জমে কার্পেটিং ওঠে যায়। জনদুর্ভোগ বিবেচনায় বড় বড় গর্তগুলো ভরাট করার হচ্ছে। আগামী অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম জানান, স্টেশন রোডে জনদুর্ভোগের বিষয়টি নজরে আসলে পানি জমার কারণ চিহ্নিত করে দখলদারদের নোটিশ দিয়ে তার কার্যালয়ে ডাকেন। রেলওয়ের জমিতে অনুমোদন ছাড়াই কীভাবে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে এবিষয়ে আগামী বুধবার দখলদারদের সঠিক কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন আমাদের পোর্টালে। কোন ঘটনা, পারিপাশ্বিক অবস্থা, জনস্বার্থ, সমস্যা ও সম্ভাবনা, বিষয়-বৈচিত্র বা কারো সাফল্যের গল্প, কবিতা,উপন্যাস, ছবি, আঁকাআঁকি, মতামত, উপ-সম্পাদকীয়, দর্শনীয় স্থান, প্রিয় ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ফিচার, হাসির, মজার কিংবা মন খারাপ করা যেকোনো অভিজ্ঞতা লিখে পাঠান সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দের মধ্যে। পাঠাতে পারেন ছবিও। মনে রাখবেন দৈনিক প্রতিবাদ.কম পোর্টালটি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন‌্য উন্মুক্ত। তাছাড়া, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার স্বাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবর অথবা লেখা মান সম্পন্ন এবং বস্তুনিষ্ঠ হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে। লেখা পাঠানোর ইমেইল- dailypratibad@gmail.com