নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্বধলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য ও দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ খান এর ওপর হামলা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে পূর্বধলা রিপোর্টার্স ক্লাব। একই সাথে সংগঠনটির পক্ষ থেকে হামলা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মোবাইল উদ্ধার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) পূর্বধলা স্টেশন রোডে সন্ধ্যায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কতিপয় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন তিনি।

এ ন্যাক্কার জনক ঘটনায় পূর্বধলা রিপোর্টার্স ক্লাবের আহবায়ক হাবিবুর রহমান ও যুগ্ন আহবায়ক মো: আল মুনসুর এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানান।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদেরকে নির্যাতনের ঘটনা অহরহ ঘটে চলছে। এটি স্বাধীন গণমাধ্যম ও মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থী। অপরাধীরা একটি চক্র। এসব ঘটনার বিচার হয়না বিধায় এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তাই জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাড়ে ৭ টায় পূর্বধলা স্টেশন রোডে রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে পাকা রাস্তার উপর হাজী আ: মালেকের ছেলে আব্দুল মোমেন জুয়েল, আব্দুল কাইয়ুম রাসেল ও জামাতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল আলম তালুকদার সহ কতিপয় বহিরাগতকে সাথে নিয়ে জাতীয় দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও পূর্বধলা বণিক সমিতির সদস্য মো: ছাইদুল ইসলাম এর উপর হামলা করেন।

ছাইদুল ইসলাম বলেন, গত ৩ মাস পূর্বে হাজী আ: মালেকের ছোট ছেলে আব্দুল কাইয়ুম রাসেল আমার কাছে পূর্বধলা পাটবাজারে ঘরসহ আড়াই শতাংশ জমি বিক্রয় করে, পাওনা টাকা বুঝে নেয় এবং জমির দখল বুঝিয়ে দেয়। জমিটি রেজিস্ট্রি করার কথা বলতেই নাটকীয় ভাবে ডেকে নিয়ে হামলা করে।

ঘটনা চলাকালীন সময়ে সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করাকালীন তাকে ঠেলা-ধাক্কা সহ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং ভিডিও ধারণকৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। পরে অন্য একটি বাটন মোবাইল দ্বারা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই বিষয়ে সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় না আনা হলে সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।