রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধার দাফন, ক্ষুব্ধ জনগণ, তোপের মুখে ইউএনও

প্রকাশিত: ১১:৪৪ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার যানাযায় সময়মতো উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ লোকজন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধার দাফন সম্পন্ন করেছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের মহিষবেড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম (৭৮) কবরস্থানে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার তোপের মুখে পড়েন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। পূর্বেও এ ধরণের করেছেন এই ইউএনও। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার নিজ বাড়ি মহিষভেড় গ্রামে মারাযান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম। তিনি দীর্ঘদিন যাবত মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

পূর্বধলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নিজাম উদ্দিন জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউএনওকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে নিহতের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টায় দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আবারও ইউএনও সাহেবের সাথে কথা হয় সকাল ১০টায় তিনি উপস্থিত থাকবেন। সে অনুযায়ী আমরা অপেক্ষা করতে থাকি ও বারবার ফোন দিতে থাকি কিন্তু ইউএনও ফোন রিসিফ করেননি। সকাল ৯টার দিকে পুলিশের টিম এসে পৌঁছে।

কিন্তু ইউএনও আর আসেন না। আমরা প্রায় আধঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও উপজেলা প্রশাসনের যখন কেউ আসেননি, তখন আমরা স্থানীয় মুরব্বিদের পরামর্শে দাফন করে ফেলি। লাশ দাফনের পর ইউএনও এসে পৌঁছান। তখন স্বাভাবিকভাবে মানুষ একটু ক্ষুব্ধ হয়। তাৎক্ষণিক তোপের মুখে পড়েন ইউএনও।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও জানান, এর আগেও নারায়নডহর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামসহ আরও দুইজন মুক্তিযোদ্ধাদের যানাযায়ও সময়মতো যেতে পারেননি ইউএনও সাহেব। তাছাড়া তাকে ফোনে না পাওয়ার বিষয়াটও নতুন না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, আমি বেশ কিছুদিন যাবত শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ । শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে জাগতে একটু দেরী হয়েছে। তাছাড়া গাড়ীটাও নষ্ট ছিল। এর পরও এসি-ল্যান্ড এর গাড়ী নিয়ে গিয়েছি। তবে একটু বিলম্বে। আমি সময়মতো পৌঁছতে না পারায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আশা করি আপনারা সাংবাদিকরাও বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন আমাদের পোর্টালে। কোন ঘটনা, পারিপাশ্বিক অবস্থা, জনস্বার্থ, সমস্যা ও সম্ভাবনা, বিষয়-বৈচিত্র বা কারো সাফল্যের গল্প, কবিতা,উপন্যাস, ছবি, আঁকাআঁকি, মতামত, উপ-সম্পাদকীয়, দর্শনীয় স্থান, প্রিয় ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ফিচার, হাসির, মজার কিংবা মন খারাপ করা যেকোনো অভিজ্ঞতা লিখে পাঠান সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দের মধ্যে। পাঠাতে পারেন ছবিও। মনে রাখবেন দৈনিক প্রতিবাদ.কম পোর্টালটি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন‌্য উন্মুক্ত। তাছাড়া, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার স্বাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবর অথবা লেখা মান সম্পন্ন এবং বস্তুনিষ্ঠ হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে। লেখা পাঠানোর ইমেইল- dailypratibad@gmail.com