মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানীকে গ্রেপ্তার
ডেস্ক নিউজ: সাংবাদিকদের জবাই করার ঘোষণা দেয়া মাওলানা ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খেলাফত তথা ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম হলে সাংবাদিকদের জবাই করার কথা ধর্মীয় জলসায় ঘোষণা দেয়ার পর মাওলানা নোমানীর সেই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ জামান বলেন, ‘ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় ইস্যুকে পুঁজি করে বেশ কয়েকটি উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন, যা ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করাসহ সাধারণ মানুষকে ভিন্ন পথে ধাবিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অনেক রক্ত দেয়া হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি সেই মাহফিলে বলেন, ‘এখন থেকে রক্ত নেয়া হবে’। তবে মাহফিলটি কবে কোথায় হয়েছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী ময়মনসিংহে একটি কওমি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। নগরীর সানকিপাড়ার ফজলুল হক মারকাযুল উল্লুম মাদরাসায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষা দেন তিনি। মাওলানা নোমানী শহরের সানকিপাড়ায় সরকার রোডের ১১০/২ নম্বর বাড়ি ‘সুখ আলয়’-এ ভাড়া থাকেন।
একই মাদরাসার নূরানি বিভাগের শিক্ষক রাশেদ মাহমুদ জানান, নোমানীর বাড়ি ও জন্ম নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। ২০১২ সালে তিনি হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন।
ময়মনসিংহে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা যায়, নোমানীর সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তারাই তাকে আটক করে নিয়ে এসেছেন। ধর্মীয় জলসায় ৩ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে মাওলানা নোমানী যা বলেছেন- ‘আল্লাহ যদি আমাদেরকে তৌফিক দেয়, আর যদি ইনশাআল্লাহ খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারি, যদি আল্লাহ তৌফিক দেয় আর যদি ইনশাআল্লাহ খেলাফত কায়েম করতে পারি, আল্লাহর কসম, সংবাদ দেখার টাইম পাবি না। একটা একটা ধরব আর জবাই করব, জবাই করব ইনশাল্লাহ।’
এ সময় মাওলানা নোমানী হাত দিয়ে জবাই করার বিষয়টি দেখান। আর ওয়াজে উপস্থিত শ্রোতারা সবাই উচ্চস্বরে চিৎকার করেন।