পূর্বধলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে অনিহা শিক্ষা কর্মকর্তার
নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে অনিহা প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে মারধরের ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চায় না এ বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীর চাচা পানিশানা গ্রামের মন্নাফ খাঁ।
রবিবার (২৬ জুন) বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরার কার্যালয়ে আসলে তিনি এ অভিযোগ নিতে অনিহা প্রকাশ করেন- এমন অভিযোগ ওই শিক্ষার্থীর চাচার।
মান্নাফ খাঁ জানান, আমার ভাতিজা নিরব বিলজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। গত ৩০ এপ্রিল নিরবসহ তিন শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মজিবুর রহমান মারধর করেন। এরপর থেকে বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষক মারে এমন অজুহাতে নিরবকে স্কুলে পাঠানো যায় না। ওই শিক্ষক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায়ই মারধর করে থাকেন। তাই অভিযোগ নিয়ে আসলে শিক্ষা কর্মকর্তা আমার অভিযোগ নিতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে পূর্বধলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা জানান, ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানা মামলা আছে। মামলা থাকলে অভিযোগ কিভাবে নেই।’ পরে প্রতিবেদক বলেন মামলা করেছেন কাউসার নামে আরেক ছাত্রের অভিভাবক রউফ মিয়া। নিরবের চাচার অভিযোগের সাথে মামলার কি সম্পর্ক প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ‘আমি ভেবেছি একই অভিযোগ আগের জন নিয়ে এসেছে তাই।’ এ বিষয়ে বক্তব্য চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘আপনার যা ইচ্ছা তাই লেখেন-লেখেন-লেখেন। আপনার যা মন চাই মনের মাধুরি মিশিয়ে লেখতে থাকেন।’
পূর্বধলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স কে অবগত করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ যে কেউ দিতেই পারেন। তবে তা তদন্তের বিষয়। এবিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করে দেখবো বিষয়টি।
গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষক মজিবুর রহমান দ্বিতীয় ছাত্র নিরব ও কাওসার এবং প্রথম শ্রেণির ছাত্রী মিমকে বেত্রঘাত করেন। এতে কাওসারের পিঠের হাড়ের আঘাত পেয়ে পূর্বধলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা দেন। কাউসারের বাবা রউফ মিয়া বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের দায়ে থানায় মামলা করেন।