পূর্বধলায় রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সহিংসতায় দুপক্ষের আহত ২
ডেস্ক রিপোর্ট : নেত্রকোণার পূর্বধলায় রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সহিংসতায় দুপক্ষের মোঃ আল আমিন (৩২) এবং মোঃ ফয়জুল্লাহ (৩০) নামে দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার বিকাকুনী ইউনিয়নের বিশকাকুনী গ্রামের জনৈক আমজাদ আলীর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত আল আমিন ওই বিশকাকুনী গ্রামের আঃ গফুর’র ছেলে এবং ফয়জুল্লাহ একই গ্রামের হাফেজ সাইফুল ইসলামের ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে আল আমিন নিজে চালিত মোটরসাইকেল যোগে পূর্বধলা বাজার হতে গ্রামের বাড়ি বিশকাকুনী যাইতেছিল। বিশকাকুনী নতুন বাজারের পূর্বপাশে জনৈক আমজাদ আলীর বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষ ফয়জুল্লাহ’র সাথে আল আমিনের মোটরসাইকেলে হালকা আঘাত লেগে আহত হয়। পরে ফয়জুল্লাহ ডাক-চিৎকার শুরু করলে উত্তেজিত জনতার মারপিটে আল আমিন গুরুতর জখমী হয়। স্থানীয়রা দুজনকেই উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আল আমিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত আল আমিন জানায়, মনেপ্রাণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করার কারণে তিনি ৩য় ধাপে ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সমর্থক হিসেবে কাজ করেছেন। তাই স্বতন্ত্র হতে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আমিরুল ইসলাম ওরফে আল আমিন তাকে সর্বদা মারপিট করে প্রতিশোধ নেওয়ার পায়তারা করে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে চেয়ারম্যান এর হুকুমে ফয়জুল্লাহ, সোহাগ, সেলিম, এরশাদ মিলে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। স্থানীয়দের সহযোগীয় এখনও আধমরা হয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন বলে জানান, আল আমিন।
আহত ফয়জুল্লাহ জানায়, প্রতিপক্ষ আল আমিন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গ্রুপ ও দলের রাজনীতি করে আসছিল। পূর্বে কোন একদিন তার ফেসবুকে রাজনৈতিক পোষ্ট এ তিনি একটি কমেন্ট করেন। যা দেখে আল আমিন আগুনে-বেগুনে জ্বলে উঠেছিল। তখন হতেই আল আমিন তার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম এর উপর আনিত অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, তিনি এ মারামারি বিষয়ে কিছুই জানেন না।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।