পূর্বধলায় বিষ প্রয়োগে ফসল বিনষ্টের অভিযোগ
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিষাক্ত ঔষধ প্রয়োগে জমির ফসল বিনষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরোদ্ধে। এতে ৪৩ শতাংশ জমির আমন ফসল পুরোটাই মরে গেছে। উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কালডোয়ার গ্রামের মো: নাজিম উদ্দিনের জমিতে এ বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়ে একই মওসুমের একই জমিতে দুইবার বিষ প্রয়োগ করে ফসল বিনষ্ট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে জমির মালিক মো: নাজিম উদ্দিন নেত্রকোনা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারী জমির মালিক মো: নাজিম উদ্দিন জানান, তিনি তার শশুর মৃত কিতাব আলীর কাছ থেকে ৪৩ শতাংশ প্রায় ৩০/৩৫বছর আগে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। সেই সাথে তার নামে নাম জারিসহ খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। গত এক বছর আগে জমি বিক্রেতা মৃত: কিতাব আলীর পুত্র ইউনুস আলী ও ইউনুস আলীর পুত্র হেলাল, জালাল, দুলাল গং এই জমির মালিকানা দাবি করে আসছেন। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরে এ নিয়ে এলাকায় এবং পূর্বধলায় থানায় সালিশ বৈঠকও হয়। সালিশ বৈঠকে জমির প্রকৃত মালিক আমাকে বলে জানানো হলেও প্রতিপক্ষ তা মানেনি। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি আদালতের সরনাপন্ন হন। বিজ্ঞ আদালত উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভুুমি) কে সরেজমিনে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভুমি) আগিয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তার মাধ্যমে জমির প্রকৃত মালিক আমি মো: নাজিম উদ্দিন উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেন।
এরপরও ওই পক্ষটি তাদের দাবী থেকে না সরে ইতিপূর্বে জোরপুর্বক জমিতে হালচাষ করতে যায়। পরে আমার পরিবারে বাধার প্রেক্ষিতে তারা উঠে আসে। এরই প্রেক্ষিতে হেলালের নেতৃত্বে তাদের লোকজন ওই রোপিত জমিতে বিষাক্ত ঔষধ প্রয়োগ করে ফসল বিনষ্ট করেছে বলে দাবী করেছেন মো: নাজিম উদ্দিন। বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায় চারদিকে জমির ফসল ভাল থাকলেও নাজিম উদ্দিনের জমির ফসল মরে নষ্ট হয়ে গেছে। এ সময় নাজিম উদ্দিন আরও বলেন, আমন মওসুমের শুরুতে একবার ধানের চারা রোপন করা হলে চারা সবুজ হওয়ার সাথে সাথেই বিষ প্রয়োগে নষ্ট করে ফেলে প্রতিপক্ষ। পরে আবার জমিতে চাষ করে পুণরায় ধানের চারা রোপন করা হলে আবার জমিতে বিষাক্ত ঔষধ প্রয়োগ করে ফসল বিনষ্ট করা হয়।
এ সময় স্থানীয় কৃষক মো: ইসলাম উদ্দিন, আব্দুল মজিদ জানান ফসলটি বিষাক্ত ঔষধ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে।
অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিনের সাথে কথা বললে বিষাক্ত ঔষধ প্রয়োগের বিষয়টির ব্যপারে তিনি কিছু জানেননা। তবে ওই জমির দাগ নম্বর অনুযায়ী জমিটি তাদের বলে দাবী করেন।
আগিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সানোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এই জমিটির প্রকৃত মালিক মো: নাজিম উদ্দিন। তা একাধিক সালিশ বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের তদন্তকারী পূর্বধলা থানার এ.এস.আই মো: নজরুল ইসলাম জানান, প্রথম পর্যায়ে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এই জমিটি বিবাদী মো: নাজিম উদ্দিন ভোগ দখল করবেন বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছেন।