পূর্বধলায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারীসহ আহত-৩


পূর্বধলা (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা: নেত্রকোনার পূর্বধলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতি পক্ষের হামলায় কুলসুমা আক্তার (৩৭), আছমা আক্তার (২০), ও আব্দুল হাই (৬৫) নামের তিন জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পূর্বধলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের দিগজান গ্রামে গত ২১ এপ্রিল বিকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আব্দুল হাই’র ছেলে সোহেল মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৮জনকে আসামী করে পূর্বধলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দিগজান গ্রামের আব্দুল হাই এর সাথে তারই ভাতিজা বাবুল মিয়া, বাবর আলী, আকবর আলী ও অপর ভাতিজা আল আমিন মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
গত ২১ এপ্রিল বিকালে প্রতিক্ষের লোকজন ওই বিরোধকৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে গেলে আব্দুল হাই তাতে বাধা দেয়। এতে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল হাই ও তার স্ত্রী কুলসুমা আক্তার মেয়ে আছমা আক্তার এবং ছেলে সোহেল মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল হাই স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, বিগত ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪৬ শতক জমি তিনি তার নিজ নামে লিজ গ্রহণ করে তাতে চাষাবাদ করে আসছেন ও ওই জমির নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করে আসছেন। গত বছর হঠাৎ করে বিবাদীগণ তার জমিনের রোপনকৃত ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। এর পর তিনি এ ঘটনায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে রেলওয়ে পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত করে তার কাগজপত্র সঠিক পায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাবর আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান ওই জমি তার। তবে তাৎক্ষণিক বাবর আলী জমির কোন কাজপত্র দেখাতে পারেননি।
পূর্বধলা থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিনি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।