পূর্বধলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর আহত-৫
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন একটি নিরীহ পরিপারের বাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তাদের হামলায় এমদাদুল (৩৬), মমতা বেগম (৫৫), মিলন মিয়া (৪০), লিটন মিয়া (৪৮) ও মানিক মিয়া (৩৫) নামের ৫জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় এমদাদুল ও মমতা বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা ও আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের বহুলী গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার রাতেই গণি মিয়া (৪৫) ও মঞ্জুরুল হক (৩৫) নামের দু’পক্ষের দুইজনকে আটক করেছে।
শনিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,বহুলী গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে গণি মিয়া ও গণি মিয়ার ভগ্নিপতি একই গ্রামের জামাল মিয়ার সাথে তাদের পাশের বাড়ির ইয়াকুব আলীর ছেলে ছালাম গংদের দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
এ নিয়ে শুক্রবার বিকালে দুই পক্ষের কথা কাটি হয়।
তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তা মিমাংসা করে দিলেও। রাত দেড়টার দিকে ছালাম গংদের ওয়ারেছ খা, মিরাজ খা, সুজন খা ও ছালামসহ ৩০/৩৫জন ধারালো অস্ত্র ও লাটি-সোটা নিয়ে গণি মিয়া, মানিক মিয়া, জামাল খা, এমদাদুল, লিটন মিয়া ও মিলন মিয়ার টিন সেটের ৭টি বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ঘর, ঘরের আসবাব ও তৈজসপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকাসহ স্বণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে এমদাদুল , মমতা বেগম, মিলন মিয়া, লিটন মিয়া ও মানিক মিয়াকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আহত মানিক মিয়া জানান, শনিবার সকালে তারা থানায় মামলা করতে গেলে এমন খবরে প্রতিপক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে আবারও তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা করে। বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
পূর্বধলা থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দুই পক্ষের দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার বিকালে আবারও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিকে আটকৃত দুইজনকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।