পূর্বধলায় গুচ্ছ গ্রামের ৩৫ পরিবার পানিবন্দি, দুর্ভোগ চরমে
পূর্বধলা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি: নানান সমস্যার কারনে দুর্ভোগে পড়েছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের গুচ্ছগ্রামের পানিবন্দি ৩৫ পরিবার। টানা বর্ষনের ফলে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ায় পানি উঠে গেছে গুচ্ছগ্রামে নির্মিত ঘরের চারদিকে। তাছাড়া লকডাউনের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে এখানের কর্মক্ষম পরিবারের লোকজন। সরকারিভাবে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা না পাওয়ায় কষ্টে দিন যাপন করছেন এখানকার লোকজন।
রবিবার (৪ জুলাই) দুপুরে আগিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে নির্মিত গুচ্ছগ্রাম দেখতে গেলে নানা সমস্যা কথা তুলে ধরেন গুচ্ছগ্রাম পরিবারের লোকজন। এ সময় দেখা যায় পুরো উঠোন জুরে পানি আর পানি। আর একটু বৃদ্ধি পেলেই পানি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করবে। পানির ঢেউয়ে ঘরের মাটির ভিত ভেঙ্গে যাচ্ছে। সেঁতসেঁতে ঘরে অনেক কষ্ট করে রান্নার কাজ করছেন এক মহিলা। এ সময় কথা হলে এখানকার বাসিন্দারা জানায়, এখানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। টয়লেটের ব্যবস্থাও নাজুক। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় অন্ধকারে রাতকাঠানো অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তাদের।
এখানকার বাসিন্দা নারগিস, ইসলাম উদ্দিন, আলিপিনা, রাহেলা, অরুনা জানায়, ঘর নির্মানের পর উঠোনে পর্যাপ্ত মাটি না কাটায় বর্ষা শুরু হতে না হতেই পুরো উঠোনে হাটু পানি উঠে গেছে। ৫টি টিউবওয়েলের সবকটিই অকেজো। এমপি সাহেবের দেওয়া একটি টিউবওয়েলে চলছে ৩৫টি পরিবার। টয়লেটগুলোও ব্যবহারে অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় রাতে অনেক কষ্ট করতে হয়। চারদিকে পানি থাকায় সাপের ভয়ে রাত কাটাতে হয়। অপর দুই বাসিন্দা মো: আব্দুল খালেক, মজিবর জানায় উঠোনে হাটু পরিমান পানি থাকায় শিশু বাচ্চাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। তারা আরও জানায় চলমান লকডাউনের কারনে এখানকার কর্মক্ষম মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের অনেকের ঘরেই খাবার নেই। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের কাছে কোন সরকারি সাহায্য পৌঁছায়নি বলে তারা জানান।
আগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম রুবেল জানান, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য সরকারি সহযোগিতার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ার বিষয়ে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পূর্বধলা জোনাল অফিসের উপ-মহা ব্যবস্থাপক প্রকোশলী লিপিয়া খাতুন জানান, ওইখানের গ্রাহকদের কাগজপত্র জমা হয়ে থাকলে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম জানান গুচ্ছ গ্রামের লোকজনের খবর নিয়ে তালিকা করে দ্রুত খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।