পূর্বধলায় এই প্রথম হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এসে কনে ছাড়া বাড়ি ফিরল বর
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপের বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী। ওই ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রাজপাড়াস্থ ভাড়াকরা বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের প্রবাসী বাবুল তালুকদার ও মা দুবাই প্রবাসী সুমী আক্তারের মেয়ের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মোঃ আলেক মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী মো. শাহজালালের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারন হয় আজ শুক্রবার। বিয়ের আয়োজনের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয় উপজেলার রাজপাড়াস্থ পূর্বধলা জে.এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন। মায়ের অসুস্থাতার কারন উল্লেখ করে বিয়েতে বর আসলেন হেলিপ্টারে চড়ে। নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করা হয় পুলিশ।
বাল্য বিয়ে হচ্ছে মহা ধুমধামে এমন খবরে ঘটনা স্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স, পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল। কনের মা সুমি আক্তার জানান তার মেয়ে কিছুদিন আগে জে.এসসি পরীক্ষায় অটো পাশ করার পর বর্তমানে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেয়ের মায়ের দেওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদটি যাচাই করে তা অনলাইনে পাননি এবং যাচাই করে দেখতে পান মেয়ের ১৮বছর পুর্ন হয়নি। পরে মেয়ের বিয়ের বয়স পুর্ণ না হওয়ায় বাল্য বিয়ের অপরাধে বর ও মেয়ের মায়ের মুচলেকা নিয়ে বিয়ে পন্ড করে দেন।