পূর্বধলায় অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার

প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ১৩, ২০২১

পূর্বধলা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলা অগ্রণী ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেবা না পেয়ে অনেক গ্রাহক বেসরকারি ব্যাংকের দিকে ঝুঁকছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বরাবর অভিযোগ করেছেন ফারুক নামের ভুক্তভোগী এক গ্রাহক।

প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানাযায়, ফারুক ওই শাখার মাধ্যমে চাকরির বেতন উত্তোলণ করেন। কিছু দিন আগে বেতনের বিপরীতে তিনি ঋণ নেন। প্রতি মাসের বেতন থেকে ঋণের কিস্তি কাটা হয়। ঋণের অবশিষ্ট টাকা যোগাড় করে তা পরিশোধের জন্য গত ১২ এপ্রিল টাকা নিয়ে তিনি ব্যাংকে যান।

ওই টাকা তার সঞ্চয়ী হিসাবে জমা দিতে বলা হয়। তিনি যথারীতি টাকা জমা দেন। পরে তার ঋণ পরিশোধ পূর্বক ঋণের হিসাবটি বন্ধ করে একটি প্রত্যয়ন চান। তাকে সারা দিন বসিয়ে রেখে বিকেলে বলা হয় নেটওয়ার্ক নেই। তাকে পরদিন আসতে বলেন। তিনি যথারীতি পরদিন অর্থ্যাৎ আজকে (১৩ এপ্রিল) ব্যাংকে যান। কিন্তু আজকেও নেটওয়াক নেই বলে জানিয়ে তাকে লকডাউনের পরে আসতে বলা হয়।

ফারুক বলেন, আমি ক্ষুদ্র চাকরি করি। ঋণের হিসাবটি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সুদ হতে থাকবে। ঋণ পরিশোধ করতে কষ্ট করে টাকা যোগাড় করেন। টাকা জমা দিয়েও ঋণ পরিশোধ না হলে অযথা সুদ গুণতে হবে।
আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রাহকের সঙ্গে কথা বললে তারাও ব্যাংকের এই শাখায় এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলেন অভিযোগ করেন।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারি বলেন, উপজেলার সকল বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারির বেতন হয় অগ্রণী ব্যাংক শাখার মাধ্যমে হয়। বেতন উত্তোলণসহ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে ব্যাংকে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারি বাধ্য হয়ে ইএফটি’র মাধ্যমে অন্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি পূর্বধলা উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুজ্জামান বলেন, ওই ব্যাংকে গ্রাহক সেবার মান খুবই নাজুক। শিক্ষক-কর্মচারিরা বেতন উত্তোলণ করতে গিয়ে প্রায়ই ব্যাংকের কর্মকর্তাদের রুঢ় আচরণের শিকার হন। এ কারণে আমরা অন্য ব্যাংকে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছি।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আল মামুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নেটওয়ার্ক না থাকলে আমাদের কিছু করার থাকে না। অগ্রণী ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক শামীম রেজা প্রথমে নেটওয়ার্ক নেই বলে জানান। তার বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া হবে বলে জানালে পরক্ষণেই সার্ভারের লাইন আছে বলে স্বীকার করেন ।

প্রিয় পাঠক, আপনিও লিখতে পারেন আমাদের পোর্টালে। কোন ঘটনা, পারিপাশ্বিক অবস্থা, জনস্বার্থ, সমস্যা ও সম্ভাবনা, বিষয়-বৈচিত্র বা কারো সাফল্যের গল্প, কবিতা,উপন্যাস, ছবি, আঁকাআঁকি, মতামত, উপ-সম্পাদকীয়, দর্শনীয় স্থান, প্রিয় ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ফিচার, হাসির, মজার কিংবা মন খারাপ করা যেকোনো অভিজ্ঞতা লিখে পাঠান সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দের মধ্যে। পাঠাতে পারেন ছবিও। মনে রাখবেন দৈনিক প্রতিবাদ.কম পোর্টালটি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন‌্য উন্মুক্ত। তাছাড়া, স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার স্বাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিও আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবর অথবা লেখা মান সম্পন্ন এবং বস্তুনিষ্ঠ হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে। লেখা পাঠানোর ইমেইল- dailypratibad@gmail.com