পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলায় পুকুরের পানিতে ভাসমান ৩ মাসের শিশু জনি আক্তার’র রহস্যময় মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করেন পূর্বধলা থানা পুলিশ। এ  ঘটনায় গত সোমবার শিশুটির চাচী হেনা আক্তারকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। হেনা আক্তার উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামের মো. স্বাধীন মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ জানান, ৩ মাস বয়সের শিশু জনি আক্তার’র রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওইদিনই শিশুটির বাবা এখলাস মিয়া বাদি হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত দায়িত্বে থাকা থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) সাদ্দাম হোসাইন সঙ্গীয় ফোর্স সরেজমিনে গিয়ে সন্দেহজনক ভাবে শিশুটির চাচী হেনা আক্তারকে আটক করে থানা নিয়ে আসেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হেনা শিশু মৃত্যুর স্বীকার করেন যে, সে শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার ঘরে যাচ্ছিল। এ সময় ঘরের দরজার চৌকাটে হোচট খেলে শিশুটি তার কোল থেকে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে শিশুটি মারা গেছে ভেবে কাউকে না জানিয়ে সে তাকে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। শিশু জনি আক্তারকে না পেয়ে স্বজনরা খুঁজাখুজি করে কান্না করছিল। তারপর খুঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে হেনা আক্তারসহ সকলেই শিশুটিকে বাড়ির পাশে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কৈলাটি গ্রামের মো. এখলাস মিয়ার স্ত্রী নাছিমা তাদের ৩মাস বয়সের কন্যা শিশু জনি আক্তারকে তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি শ্বশুড়ের কাছে রেখে অন্য কাজে যান। কিছুক্ষণ পরে কাজ থেকে ফিরে শশুরের কোলে শিশুটিকে না পেয়ে জিজ্ঞেস করলে শশুর জানান কেউ একজন তার কাছ থেকে নিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শিশুটিকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, শিশুর রহস্যময় মৃত্যুতে বাবা এখলাস মিয়া বাদি হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা করেন।  মামলা তদন্ত করে সোমাবার হেনা আক্তারকে আটক করে  আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।