পূর্বধলায় লোমহর্ষক শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় স্কুল ছাত্র শিশু আব্দুল্লাহ হত্যার রহস্য উদঘাটন করে আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারী) বাবুল বেপারী (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাবুল বেপারী উপজেলার ছোছাউড়া গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে।
সরেজমিনে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর আগে নিহতের পিতা জামাল মিয়া ঘটকালি করে তার প্রতিবেশি বাবুল বেপারীর মেয়ে মনি আক্তারের সাথে তারই চাচাত শ্যালক উপজেলার ভিতরগাঁও গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে সুমন মিয়ার বিয়ে দেন।
বিয়ের পর থেকেই ওই দম্পতিতের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলেআসছিল। এরইমধ্যে গত মাস দেড়েক আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ নিয়ে প্রতিবেশেী বাবুল বেপারী জামাল মিয়াকে প্রায়ই গালমন্দ করতেন ও দেখে নেওয়ার হুমকী দিতেন। জামাল মিয়া ও তার পরিবারের অভিযোগ ওই বিরোধকে কেন্দ্র করেই বাবুল বেপারী তার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে জিঙ্গাসাবাদের জন্য বাবুল বেপারীকে আটক থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল বেপারী শিশু হত্যার দোষ স্বীকার করে বর্ণানা দেন, বাড়ি পাশে খেলা করার সময় শিশু আব্দুল্লাহকে ডেকে নিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় বাবুল বেপারী ঘরের ভিতর ডেকে নিয়ে কাপড়ের টুকরো দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে শিশু আব্দুল্লাহে হত্যা করা হয়।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে জিঙ্গাসাবাদের জন্য বাবুল বেপারীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল বেপারী শিশু হত্যার দোষ স্বীকার করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছোছাউড়া গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় মডার্ন আইডিয়াল স্কুলের নার্সারি শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ (৬) নামের ওই শিশুর মরদেহ গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পূর্বধলা-দেওটুকোন সড়কের পাশে একটি ঝোপঝাড়ের মধ্য থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টারদিকেবাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয় আব্দুল্লাহ ।