পূর্বধলায় বীমা করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ পাওয়া গেছে


নেত্রকোণা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় কথিত নামদারি সাংবাদিক এসএম ওয়াদুতের বিরুদ্ধে বীমা করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাম্য গরীব লোজদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ’র অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ২০/২৫ জন বীমার গ্রাহক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত ওয়াদুদ উপজেলার পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের খারছাইল গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোং লি: পূর্বধলা উপজেলা শাখাতে পরিদর্শক পদে কর্মরত আছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে ও অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ওয়াদুদ জেলা অফিসের ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোং তে অফিস সহায়কের কাজ করতো। কৌশলে পূর্বধলা উপজেলা শাখাতে পরিদর্শক পদে নিয়োজিত হয়। থানা পশ্চিমপাশে একটি বিল্ডিংয়ে অফিস ভাড়া নিয়ে বীমার কাজ পরিচালনা করতো এবং বীমার আড়ালে দূর হতে মহিলা নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করতো। এতে স্থানীয় এবং পুলিশের কাছে হয়রানির স্বীকার এবং শারীরিক প্রহার সহ্য করতে হতো। এসব কারণে কয়েক মাস পর পর তার ব্যবহৃত অফিসের স্থান পরিবর্তন করতে হয়। ২০১৯ সনের ডিসেম্বর মাসে নিজেকে সবার কাজে বিশ্বাসী করে তুলতে নিজের ফেসবুক আইডিতে স্বাধীনতা টিভি নামে ফেসবুক ফেইজ খুলে প্রতারণার নতুন কৌশল অবলম্বন করে। এমনকি সাংবাদিক বানিয়ে দিবে বলে ওই ফেইজে লোক নিয়োগ করে ঐতিহ্যবাহী পূর্বধলা প্রেসক্লাবের নাম বিভ্রাট করে নতুন একটি সংগঠন তৈরী করে। সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে ওই গিরিয়াশা গ্রামে “ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোং লি:” বীমা করায়ে ৫০/৬০ জন গ্রাহক তৈরী করে। রশিদ ছাড়াই কিস্তির টাকার নিয়ে অফিসে অর্ধেক জমা করে ফটোকপির মাধ্যমে রশিদ বানিয়ে প্রতারণা করে। বোনাস দেওয়ার নাম করে নতুন করে বীমা করার চাপ সৃষ্টি করে। বীমার বয়স ৩ বছর অতিক্রম হলে সে আনা হতে কিস্তি বিরত থাকে। তার সাথে দেখা করে কথা বললে খারাপ আচরণ করে। ভূক্তভোগীরা জেলা অফিসে যোগাযোগ করে দেখে তাদের নামে সর্ম্পূণ টাকা জমা হয় নি। এভাবে বীমার টাকা জমা না দিয়ে ওয়াদুত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে জায়গা জমি কিনে বাড়ী, গাড়ী করেছে বলে জানান ভূক্তভোগীরা। ঘাগড়া ইউনিয়নের মহিলা সদস্যও এই ভাবে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। এসব বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে সে এবং তার ভাই লোকজনদের মারপিট করতে উধ্যত হয়। ক্ষমতার দাপটে কুলিয়ে উঠতে পারলে পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এই পরিচয় ব্যবহার করে। প্রতারিত করে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফেরৎ পেতে ভূক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ে করে আইনগত পদক্ষেপ নিতে জোর দাবী জানান।
এসব বিষয় জানাজানি হলে, ঢাকা হতে এক হজ্ব এজেন্সি জানান, গেল বছর ওমরা পালন করার সময় এজেন্সির টাকা মেরে দিয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ওয়াদুতকের জিজ্ঞাসা করলে সে এসব বিষয় অস্বীকার করে বলে, সে কোং’র ইনচার্জ। তার সাথে গ্রহকদের লেনা দেনা হয় নি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, এবিষয়ে আমার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।