পূর্বধলায় প্রতিপক্ষের হামলায় অন্ত:সত্ত্বা নারীর গর্ভপাতের ঘটনায় মামলা
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের বাড়হা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত অন্ত:সত্ত্বা মোছাঃ হোসনাহার বেগম (২৮) নামে এক নারীর গর্ভপাতের ঘটনায় গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মোছাঃ হোসনাহার বেগম বাদী ওই বাড়হা গ্রামের মোঃ শহিদ মিয়া ছেলে মোঃ হাবুল হোসেন (২৫) এবং মৃত আব্দুল গণি’র ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (৩৫) দের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। আহত মোছাঃ হোসনাহার বেগম একই গ্রামের মোঃ সুরুজ আলী’র মেয়ে।
মামলার বরাত দিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের দেবকান্দা গ্রামের মোঃ ফয়েজ উদ্দিন এর সহিত হোসনাহার বেগম’র বিবাহ হয়। হোসনাহার বেগম পিতার বাড়িতে বেড়াইতে আসেন। মোঃ হাবুল হোসেন গং জমি সংক্রান্ত বিরোধে সুরুজ আলী গংদের খুন জখম করার জন্য পায়তারা করে আসছিল। গত ১ নভেম্বর/২২ মোঃ হাবুল হোসেন (২৫) এবং মোঃ রাসেল মিয়া (৩৫) হোসনাহার বেগম এর পিতার বসত বাড়িতে প্রবেশ করে তার মা রহিমা আক্তার কে মারপিট করতে থাকে। এসময় হোসনাহার বেগম তার মা রহিমা আক্তার কে ফিরাইতে গেলে মোঃ হাবুল হোসেন (২৫) এবং মোঃ রাসেল মিয়া (৩৫) তার তলপেটে লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। পরে হোসনাহার বেগম এর আত্মীয়-স্বজনরা উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নেত্রকোণা সদর আধুনিক হাসপাতালে রেফার্ড করলে প্রচুর রক্ত করণ হয়ে রাস্তায় হোসনাহার বেগম’র গর্ভপাত হয়। এঘটনায় হোসনাহার বেগম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নেত্রকোণাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত এফআইআর হিসেবে রুজু করার জন্য ওসি পূর্বধলাকে নিদের্শন দেন এবং ১৩ ডিসেম্বর/২২ যথা সময়ে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান, হোসনাহার বেগম এর স্বজনরা।
অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে তদন্তকারী পূর্বধলা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ শওকত আলী জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে ডাক্তারের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সঠিক প্রতিবেদন কোর্টে প্রেরণ করা হবে।