পূর্বধলায় গলায় ওড়না পেছিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় ফাঁসিতে ঝুলে রহিমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (৫মার্চ) সকাল দশটায় পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের তুলা পাবই গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। স্বামীর ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত রহিমা- উপজেলার ওই খলিশাউড় ইউনিয়নের পাবই গ্রামের ফয়সালের স্ত্রী এবং বাচ্ছু মিয়ার মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছর আগে একই ইউনিয়নের একই গ্রামের ফয়সালের সাথে বিয়ে হয় রহিমা আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সাথে প্রায় সময়ই দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। গতকাল শনিবার রহিমা তার স্বামী সন্তানকে নিয়ে বড় ভাই আসাদুল এর বিয়ের অনুষ্ঠানে তার পিতার বাড়ীতে বেড়াতে গেলে তারা স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করে। এক পর্যায়ে রহিমার স্বামী ফয়সাল রাতেই তার বাড়ীতে চলে আসে। আজ সকাল অনুমান ৮ঘটিকার সময় রহিমা তার স্বামীর বাড়ীতে এসে তার স্বামীকে বাড়ীতে পাইনি। তার স্বামী ফয়সাল একজন ভ্যান চালক।
স্বামী ফয়সাল সকাল অনুমান সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় বাড়ীতে এসে তার ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে আশে পাশের লোকদের ডাকাডাকি করে ঘরে দরজা খোলে রহিমাকে ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে সুতির ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি রহিমাকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।