ধীর গতিতে চলছে ফরিদগঞ্জের ইসলামপুুর সেতুর কাজ
এমরান হোসেন লিটনঃ ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের ইসলামপুর বগার গুদাড়ায় ডাকাতিয়া নদীর ওপর ৭১কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ সেতুর কাজ চলছে ধীরগতিতে। ইতিমধ্যে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিলেও নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শেষ হয়ে যাবে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সেতুটির নির্মাণ বাবদ ৩৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং দু’পাড়ের জমি অধিগ্রহণে ৬ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে আবার অ্যাপোচ সড়ক নির্মাণের জন্য ২৮কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। সেতুটির মূল কাজ করে দেয়ার টেন্ডার পায় ঠিকাদার মেসার্স নবারুণ ট্রেডার্স। এবং অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের টেন্ডার পায় ইউনুস আল মামুন লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সেতুর কাজ শুরু হলেও ‘১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি ও ফরিদগঞ্জ আসনের সাবেক সাংসদ ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী সেতুটির কাজ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা।
উল্লেখ্য,শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির পিতা ভাষা ভীর এমএ ওয়াদুদের নামানুসারে সেতুটির নামকরণের প্রস্তাব রয়েছে। এবং চাঁদপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সেতুটির কাজ দেখাশোনা করছেন।
২০১৬ সালে কাজ শুরু হলেও বর্ষায় এবং অসময়ের বৃষ্টির কারণে ডাকাতিয়ার পানি বৃদ্ধির অজুহাতে ৫-৬ মাস সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। সে কারণে সেতুর কাজ ১ বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। কিন্তু গত ১ ফেব্রুয়ারি কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর কাজ শেষ হতে এখনও অনেক বাকি। এ সময় কাজের দায়িত্বে থাকা এলজিইডির কর্মকতা আঃ মান্নানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মূল সেতুর কাজ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের ম্যাপ জটিলতায় কাজ সম্পন্ন হতে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে।
এ সময় ব্রিজ এলাকার শতাধিক মানুষ ২ নং বালিথুবা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল হোসেন টিটু মিয়াজীর নেতৃত্বে এই প্রতিনিধির কাছে দাবি তুলে ধরে বলেন, ম্যাপ জটিলতার কারণে ব্রিজের ঠিক সামনের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ব্রিজ থেকে নেমে অনেকদূর ঘুরে গ্রামে ঢুকতে হবে। তাই ব্রিজটির পূর্ব পাড়ে একটি সিঁড়ির ব্যবস্থা করে দিলে ওই গ্রামসহ আরো অন্যান্য মানুষ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ২শ’ ৭৪ মিটার ও প্রস্থ ৯ দশমিক ৬০ মিটার। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির পিতা ভাষা ভীর এমএ ওয়াদুদের নামানুসারে সেতুটির নামকরণের প্রস্তাব রয়েছে। চাঁদপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সেতুটির কাজ দেখাশোনা করছে। ৪টি বড় ও ১০টি ছোট আরসিসি পিলারের ওপর সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে। এর উভয় অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৬৭৫ মিটার। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ফরিদগঞ্জের এবং চাঁদপুর সদরের সাথে যোগাযোগ সহজ হবে।