জলাবদ্ধতায় নেত্রকোণা সদর সাবরেজিষ্টার কার্যালয়
আব্দুর রহমান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি : নেত্রকোণা সদর সাব-রেজিষ্টারের কার্যালয় একটুখানি বৃষ্টি হলেই বেহাল দশা হয়ে পরে এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষদের। করোনাকালে অফিসের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। সাধারণ সেবাগ্রহীতা অফিসে আসে না। জলাবদ্ধতা পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যাবস্থাপনা না থাকায় ব্যহত হচ্ছে দাপ্তরিক কাজকর্মে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে সকলের।
এ ব্যাপারে জমি দলিল করতে আসা কৃষক আবুল কাসেম জানান, গেইট থেকে অফিসের সামনের পানি দেখে আমি চমকে যাই, আমরা জানতাম গ্রাম অঞ্চলে পানি জমে থাকে শহরে যে অফিসের সামনে এইভাবে পানি থাকে জীবনের প্রথম দেখলাম, লুঙ্গিটা কোমরে বেধে হাটু পানি ভেঙেই অফিসে আসলাম।
সিনিয়র তল্লাশ কারক একে এম মনির চৌধুরী মোমেন জানান, ভারী বৃষ্টিপাতে অফিসের সামনে হাটু পানি জমে রোগজীবাণু সৃষ্টি হচ্ছে জীবীকার তাগিদে বাধ্য হয়েই আমরা হাটুপানিতে ভিজে এসে অফিসের কাজ করছি। এভাবে চলতে থাকলে সকলকেই অসুস্থতার কবলে পরতে হবে জরুরি ভিত্তিক তা সমাধান চাই।
নেত্রকোণা জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সৈয়দ আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু মিয়া বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা কালে অফিসের সামনে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অফিসের চতুর্দিকে রাস্তা থাকায় পানি নিষ্কাশন কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে বৃষ্টির পানি জমা হয়ে জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে।
নেত্রকোণা জেলা জনউদ্যোগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী জানান, মাঠটির অবস্থান অফিসের সামনে।জলাবদ্ধতার কারনে সাধারন সেবাগ্রহীতা সহ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী, দলিল লেখক ও তল্লাশ কারকরা ঠিকমত কাজ করতে পারছেনা। দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার কারণে বন্ধ রয়েছে প্রায় সার্বিক কার্যক্রম। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
নেত্রকোণা সদর উপজেলা সাবরেজিষ্টার মোঃ গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, অফিসের সামনে জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমি উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যম জানিয়েছি অচিরেই জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে চলাচলের উপযোগী করে তুলবো।