গ্যাসের প্রেসার কম থাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং, নিরাপত্তা চেয়েছেন পুলিশ সুপারে কাছে
মোঃ আল মুনসুর : নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আওতায় ১৩টি উৎপাদন কেন্দ্রে বিদ্যুতের ঘাটতির মূল কারণ গ্যাসের প্রেসার কমে যাওয়া। গত রবিবার দুপুরের দিকে হঠাৎ প্রায় ৪৫ কোটি ঘনফুট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্যাসের সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে জেলার পূর্বধলা উপজেলাসহ সব কয়টি উৎপান কেন্দ্রে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও-ভাংচুর এবং লোকজনের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল ৫ এপিল পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন নেপবিস’র জেলারেল ম্যানেজার মোঃ জাকির হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নেপবিস পূর্বধলা জোনালের এজিএম মোঃ ফরহাদ মিঞা।
এজিএম মোঃ ফরহাদ মিঞা জানান, ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে পল্লী বিদ্যুৎ এর কোন সার্থকতা নাই। বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে রক্ষণাবেক্ষণের কারণে কোন কোন এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হচ্ছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রঠিষ্ঠানের কিছুই করার থাকেনা। এছাড়াও তীব্র গরমের কারণে সব ধরনের লোড কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। যার ফলে জেলার পূর্বধলা উপজেলাসহ সব কয়টি উৎপান কেন্দ্রে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, নেত্রকোনা গ্রীডে পিক আওয়ার ডিমান্ড প্রায় ১০০ মেগাওয়াট, সাপ্লাই ৬০ মেগাওয়াট। প্রতিদিন প্রায় ৪০ মেগাওয়াট লোডশেডিং। সদর সাবস্টেশনে পিকআওয়ার ডিমান্ড প্রায় ৭ মেগাওয়াট আর সাপ্লাই হচ্ছে প্রায় ৪ মেগাওয়াট। সম্মানিত গ্রাহকগণ, তাহলে বোঝোন প্রতিদিন কতজন বিদ্যুৎ বিহীন থাকে। এই লোড শেডিং এর জন্য সব ফিডারই (লাইন) ক্রমান্বয়ে বন্ধ করা হয়। তাই কেউ যেন আইনপরিপন্থী কোন কাজে লিপ্ত না হতে পারে তাজন্য পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দায়ের করেন জেনারেল ম্যানেজান। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণদের লোডশেডিং বিষয়ে অবগত করে চিঠি প্রদান করেন নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (নেপবিস)।