কেন্দুয়ায় দুই কেজি শুটকি কিনে দেড়শ টাকা খাজনা ক্রেতাদের ক্ষোভ
কেন্দুয়া প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই কেজি শুটকি কিনে দেড়শ টাকা খাজনা দিতে হয়েছে এক ক্রেতার। এঘটনাটি বুধবার (১৯ মে) উপজেলার চিরাং বাজারে ঘটেছে।
সুত্র জানায়,সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে চিরাং বাজারে মনগড়া খাজনা (টোল) আদায় করছেন ইজারাদার। অতিরিক্ত খাজনা আদায় করেও ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের দিচ্ছেন না কোন রশিদ। দূরদূরান্ত থেকে আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা হচ্ছে অধিক টাকা। আর তাই বেচা-কেনা করতে আসতে ভয় পান ক্রেতা-বিক্রেতারা। স্থানীয় বাজারে নেই কোনো খাজনা আদায়ের নির্ধারিত তালিকা।
এ সব অনিয়মের অভিযোগ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। বুধবার (১৯ মে) ছিল হাটবার। বেড়াতে আসা ইকরা প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অধ্যক্ষ শফিকুজ্জামান তিনি শখের বশে ২ কেজি শুটকি ক্রয় করেন ১৫০০ টাকা দিয়ে এসময় সাব-ইজারাদার তার কাছে ১৫০ টাকা খাজনা ( টোল) দাবি করলে তিনি ক্রেতাদের টোল দিতে হয় না তাকে জানালেও সাব-ইজারাদার তা কর্ণপাত করেনি। অবশেষে ১০০ টাকা দিয়েই মহাল থেকে বের হতে হয় বলে জানান তিনি।
এব্যাপার ইজারদার মিলটন জানান,একেক মহালে একেকজনকে (সাব-ইজারাদার) দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে । ক্রেতা-বিক্রেতারা। একেক মহালে ইজারার রেটও আলাদা রয়েছে। এই মহালে ক্রেতাদের কাছ থেকে খাজনা নেওয়া যাবে কি-না বিষয়টি এই মুহুর্তে মনে পড়ছেনা।
সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে সাব ইজারা দিয়েছেন ইজারাদার।
দূরদূরান্ত থেকে আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা হচ্ছে অধিক টাকা। আর তাই বেচা-কেনা করতে আসতে ভয় পাচ্ছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুটকি ব্যবসায়ী রা বলেন, চটে বসে মাছ বিক্রি করি ইজারাদারের লোকজনকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। সারাদিনে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা বিক্রি করি এতে লাভ হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এরমধ্যে খাজনা দিতে হয় দেড়শ থেকে দুইশ টাকা তাই এই বাজারে আর আসব না।
এব্যাপার কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মঈন উদ্দিন খন্দকার জানান, ক্রেতাদের কাছ থেকে তো টোল নেয়ার নিয়ম নেই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।