করোনা কালেও মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিজার
পূর্বধলা সংবাদদাতা (নেত্রকোনা) : চৈত্রের শেষ সপ্তাহ চলছে। মাঠে মাঠে সোনালী ফসল দুলছে। কৃষকের মনে খুশির আভা। এইতো আর সপ্তাহ খানেক পেরুলেই ধান ঘরে তুলবে তারা। ঠিক এ সময়েই নেমে এলো বিপর্যয়। হঠাৎ গরম বাতাসে হাওড়াঞ্চলের মতো নেত্রকোণার পূর্বধলায়ও পড়েছে এর প্রভাব। তবে পরিমাণে স্বল্প। তাছাড়াও গেলো সপ্তাহে শিলাবৃষ্টি-ঝড়েও কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ নেহাৎ কম নয়। একে তো করোনায় নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্দশার শেষ নেই ; তার উপর ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, এ যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’।
এমন দূর্যোগে করোনার দোহাই দিয়ে পিছিয়ে থাকতে রাজি নন নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল সিজার। নামের সঙ্গে কাজের মিল রয়েছে তার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় রয়েছেন। ০৭ এপ্রিল বৃহঃপতি বার সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্হ এক কৃষক আমিনুল ইসলামের ফসলি জমি পরিদর্শন করে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
দূর্যোগময় আবহাওয়ায় বাইরে থাকার কারণ জানতে চাইলে জানান, ‘কৃষকের ডাকে সাড়া দিতেই ছুটে আসা। বর্তমান পরিস্হিতিতে কৃষক উপযুক্ত পরামর্শ না পেলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। মানবিক দিক বিবেচনা করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পরামর্শে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি। যতোদিন সুযোগ পাই এ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই’ বলে জানান তিনি।
এদিকে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে ‘ব্রি পর্যবেক্ষণ টীম, গাজীপুর’। তারা কাইচ থোর ও থোর অবস্হার জমিতে ৫ শতাংশ হারে ৬০ গ্রাম এমওপি, ৬০ গ্রাম থিওভিট, ২০ গ্রাম জিংক একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে করার এবং ফুল ও দুধ অবস্থার জমি সহ সকল জমিতে পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।