কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন


বিরামপুর, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে হাড়কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিরামপুর উপজেলার ও পৌর শহরের ছিন্নমুল খেটেখাওয়া শ্রমজীবি সহ সর্বস্তরের মানুষের। উপজেলার শৈত্য প্রবাহ, কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে দিনের প্রথম ভাগ। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে সড়ক পথে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের সাথে কনকনে বাতাসের কারণে কাহিল হয়ে পড়েছে ছিন্নমুল খেটেখাওয়া শ্রমজীবি মানুষ, দিনমজুর ও ক্ষেতমজুররা সহ ছাত্র-ছাত্রী সহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। গতকাল কাল থেকে পুরাতন গরম কাপড়ের দাম তেমন না থাকলেও আজ থেকে বেড়ে তিন থেকে চারগুণ দামে বিক্রি করছে ওইসব পুরাতন গরম কাপড় গুলো। পুরাতন গরম কাপড় কিনতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। গতকাল থেকে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর কনকনে বাতাসের কারণে দিনমজুর ও ক্ষেতমজুর পরিবারগুলো কাজ করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওইসব পরিবার। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্নবিত্তরা। শীতের সাথে কনকনে বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। শীতের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো থাকছে ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। হোটেলগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে গেছে। মাইক্রোবাস চালক রিপন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামলেই আতঙ্কের মধ্যে পথ চলতে হচ্ছে। গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনের পনের গজ দুরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। বিরামপুর উপজেলার রিকশা চালক জনি বলেন, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার জন্য গতকাল থেকে তেমন কোন আয় রোজগার করতে পারেননি, তাতে করে আমাদের সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দু্ল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যেসব শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে খুব বেশী অসুস্থ রোগীদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।