আদালতের মাধ্যমে জমির দখল বুঝে পেয়ে ধান চাষ করলেন বাদী পক্ষ রাজন চন্দ্র দাস


পূর্বধলা প্রতিনিধি, নেত্রকোণা: দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চলার পর আদালতের ডিক্রি পেয়ে নেত্রকোণার পূর্বধলায় হোগলা ইউনিয়নের হোগলা মৌজায় দুই একর ৭২ শতাংশ জমির দখল বুঝে পেয়েছেন বাদী পক্ষ। জমিটি বুঝে পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সার্বিক সহযোগীতা করেন। গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার (২৬,২৭,২৮ মে) শান্তিপূর্ণ ভাবে উক্ত জমিতে আউশ ধানের চারা রোপন করেছেন বাদীপক্ষ রাজন চন্দ্র দাস। রাজন চন্দ্র দাস- ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কালিখা গ্রামের মৃত সুজিত কুমার দাসের ছেলে এবং একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্র ও জমির কাগজাদি দেখে জানা গেছে, হোগলা মৌজাস্থিত ২৩৬৪ বিআরএস খতিয়ানের ১৭৬১১ নং দাগে দুই একর ৭২ শতাংশ ভূমি রাজন চন্দ্র দাসের পিতা এবং চাচাগণ অনুমান ৫০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছিলেন। বি,আর,এস এ পিতার নাম ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হওয়ায় গত ৩ বছর পূর্বে নরেন্দ্র চন্দ্র কুন্ডু রায় গং জমিটি বেদখল করে নেন। জমি শোকে সুজিত কুমার দাস ও তার দুই ভাই পরলোকগমন করেন। পরে জমি ফেরৎ পেয়ে সহকারী জজ আদালত, পূর্বধলাতে ১৫৩/২০২১ নং একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী রাজন চন্দ্র দাস গং। দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চলার পর উপযুক্ত দলিলাদি দেখে আদালত গত ১৭ জানু, ২০২৩ খ্রি: তারিখ রাজন চন্দ্র দাস গংদের পক্ষে রায় ঘোষণা করে ডিক্রী প্রদান করেন। রাজন চন্দ্র দাস তার সকল দলিলাদি ও উক্ত ডিক্রী নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দেখালে খুব সহজে শান্তিপূর্ন ভাবে জমি দখল বুঝে পেয়ে ধানের চারা রোপন করেছেন।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, রাজন চন্দ্র দাস তার সকল দলিলাদি ও জমির ডিক্রী প্রদর্শন করলে স্থানীয়দের সহযোগীয় বিষয়টি মিমাংসা করার হয়। বর্তমানে রাজন চন্দ্র দাস জমিটিতে ভোগ দখল অবস্থায় আছেন।